Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২১st জানুয়ারি ২০১৯

বিসিএস প্রশাসন একাডেমি সম্পর্কে

 

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমি সর্বপ্রথম গেজেটেড অফিসার্স ট্রেনিং একাডেমি (GOTA) হিসেবে যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে ১৯৭৭ সালে এ একাডেমিকে সিভিল অফিসার্স ট্রেনিং একাডেমি (COTA) হিসেবে নামকরণ করা হয়। তৎকালীন সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের (বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়) আওতাধীন সংযুক্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৯৮৭ সালের ২১ অক্টোবর তারিখে এ একাডেমিকে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমি হিসেবে নামকরণ করা হয়।

 

একাডেমি কর্তৃক বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডারের নব নিয়োগকৃত নবীন কর্মকর্তাদের জন্য পাঁচ মাস মেয়াদি আইন ও প্রশাসন সংক্রান্ত মৌলিক প্রশিক্ষণ এবং বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন মেয়া্দে অন্যান্য প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এছাড়া, এক বছর মেয়াদি “মাস্টার ইন পাবলিক পলিসি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (MPPM)” কোর্স পরিচালনা করা হয়। সরকার কর্তৃক বিভিন্ন ক্যাডার সার্ভিস কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য সময় সময় এ একাডেমিকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়ে থাকে।   

 

একাডেমি প্রশাসন, গভর্নেন্স, ব্যবস্থাপনা, উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা এবং চলমান পরিস্থিতির ওপর জার্নাল, বই, ম্যাগাজিন ইত্যাদি প্রকাশ করে থাকে। এছাড়া, বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্স উপলক্ষে প্রশিক্ষণার্থীগণ স্যুভেনির প্রকাশ করে থাকেন।

 

একাডেমি বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের দক্ষ, যোগ্য, স্বপ্রণোদিত ও উদ্যোগী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নানা ধরণের প্রশিক্ষণ যেমন প্রশাসন, ব্যবস্থাপনা, সরকারি ক্রয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা বৃদ্ধি, নৈতিকতা, আদর্শ, মূল্যবোধ তৈরি এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

 

একাডেমি দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সমজাতীয় প্রশিক্ষণ  প্রতিষ্ঠানের সাথে অংশীদারিত্বমূলক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করে থাকে। একাডেমি জাপানের ইয়ামাগুচি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় পাবলিক এ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড পাবলিক ফাইন্যান্স বিষয়ক একটি মধ্যম পর্যায়ের ডিগ্রি কোর্স পরিচালনা করছে। এছাড়া, প্রশিক্ষণ পাঠ্যসূচির মান উন্নীতকরণের লক্ষ্যে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ও কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি’র (কোইকা) সাথে যৌথভাবে কাজ করে যাচেছ। একাডেমি বিভিন্ন বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউটে উচ্চতর শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে অনুষদ সদস্যদের দক্ষতা ও যোগ্যতা বৃদ্ধির বিষয়ে যথাযথ গুরূত্ব প্রদান করে থাকে।

 

সরকারের সচিব পদ মর্যাদার একজন কর্মকর্তার নেতৃত্বে একাডেমি পরিচালিত হয়। একাডেমি সরকারি খাতের সংস্কার ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে একটি চিন্তাশালা (Think-tank) হিসেবে সর্বজনবিদিত। একাডেমি সরকারকে বিভিন্ন সময় নীতি সহায়তা ও প্রশাসন বিষয়ে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান করে থাকে। যাত্রা শুরুর পর হতে দেশের সার্বিক প্রশাসনিক উন্নয়নে একাডেমি অসামান্য ভূমিকা রেখে চলেছে।